কি পড়ছি, কি শুনছি, কি দেখছি

১.
জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্ত সম্ভবত বই কেনা বা পাওয়া ও পড়ে। আর পড়তে ভালো লাগলে তার রেশ ভালো রাখে অনেক অনেকক্ষণ। কালকের কথা না ভেবেই কত দিনই তো ধুম পরে বই কিনে ফেলেছি। প্রথম আলোর পাঠক মেলা থেকে বের হয়ে কি ভেবে চলে গেলাম আজিজে। খুব বেশি কেনা হয়নি যদিও, তারচেয়ে নেড়েচেড়ে দেখেছি বেশি। তারপরেও কিনেছি আরও কিছু বই। সেখান থেকে পড়েছি এই চারটি বই।

গণতন্ত্র নিয়ে জিয়ার টেনশন

মুজিবকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক বাহিনীকে দিয়ে সাজানো নির্বাচন করে ৮১ সালে জিয়া ও তাঁর স্ত্রী বেগম জিয়া দিল্লি সফরে আসেন।

আমার আত্মজীবনী পাঠ

আমার পছন্দ আত্মজীবনী। কিন্তু সব আত্মজীবনী পড়ার মতো নয়। কেউ কেউ নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যান যে, ফেরেসতা বললেও কম বলা হবে। আবার অনেকেই আছেন অকপটে অনেক কিছু লিখেছেন, নিজেকে নিয়ে। সেগুলো পড়তেই আমার আগ্রহ বেশি। রাজনীতিবিদদের আত্মজীবনী পড়লে ঐতিহাসিক অনেক ঘটনা জানা যায়। লেখক-সাহিত্যিকদের আত্মজীবনী মনের অনেকগুলো জানালা খুলে দেয়। আত্মজীবনীর কিছু কিছু অংশ পড়লে মনে হয়, প্রিয়জনদের জানাই।

রকমারি

১.
ফেসবুকে বইপড়ুয়া নামে একটা গ্রুপ আছে। এই গ্রুপে যেতে ভয় লাগে। হীনমন্যতা জাগে। সবাই এতো এতো বই পড়ে যে নিজেকে ওখানে রাখতে অস্বস্থি হয়। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরণের বই আছে। সেসব বই অনেকেই নিয়মিত পড়েন, আলোচনাও করেন। অনেকের বিশ্লেষণ ক্ষমতা দেখেও আমার ঈর্ষা হয়। তাই পারতপক্ষে আমি ওই গ্রুপে যাই না। এর নাম যদি হতো বউপড়ুয়া গ্রুপ আমার সেখানে পড়ে থাকতে সমস্যা হতো না।

৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থান, মেজর নাসিরের বই ও অনেক অজানা কথা

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ৭ নভেম্বর-এই তিনটি দিন নিয়ে আমার ব্যাপক আগ্রহ। এ নিয়ে কিছু বইও আছে। সাফায়াত জামিল ৪৬ ব্রিগেডের প্রধান ছিলেন। আবার ৩ নভেম্বরের অন্যতম অভ্যুত্থানকারী। তিনি একটি বই লিখেছেন। সেখানে তিনি অনেক ঘটনার কথা বলেছেন।

রক্ত ও কাদা ১৯৭১

১.
আমার একজন আত্মীয় কলেজের ছাত্র। সে নাকি সম্প্রতি এক লাখ ২০ হাজার ইয়েন দিয়ে একটি কঙ্কাল কিনেছে গবেষণার কাজে সহায়ক হবে বলে। কথাটা শুনে আমার কেন যেন ভালো লাগছিল না। পরে জানা গেল, কঙ্কালটি এক বাঙালি মহিলার, যেমনটি আমি দুশ্চিন্তা করেছিলাম। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ২০ বছরের মতো।